১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


বৃষ্টির এই সময়ে সুস্থ থাকতে করণীয় 

মো: রুবেল : বাইরে প্রচণ্ড দাবদাহ, আবার হঠাৎ করেই নামছে বৃ্ষ্টি। তবে গরম কমছে না। বর্ষা ঋতুর সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে নানাবিধ রোগবালাই দেখা দেয়। তাই বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এ সময়টায় একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হয়।

এ সময় অনুজীবদের আবির্ভাব ঘটে অস্বাভাবিক হারে। তাই শ্বাসযন্ত্রের রোগ, পেটের রোগ, ভাইরাসজনিত রোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

বর্ষার যেসব রোগ হতে পারে
বর্ষায় ফ্লুজাতীয় রোগ বেশি হয়। এ ছাড়া শ্বাসযন্ত্রের রোগ তথা হাঁপানি, সিওপিডি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়াও হয়ে থাকে। এ ঋতুতে বারবার ভেজা, ভ্যাপসা ও ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে।

বর্ষাকালের অধিকাংশ রোগই পানিবাহিত। তাই বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো। পেটের অসুখ, ডায়রিয়া, এমিবিয়াসিস, হেপাটাইটিস বা জন্ডিস হতে পারে। এ ছাড়া আমাশয়, উদরাময়, টাইফয়েড জ্বর দেখা যায় বেশি বর্ষা মৌসুমে।

বৃষ্টির এই সময়ে ছত্রাকের কারণে বেশি হয় ত্বকের রোগ। এলার্জিও হতে পারে। রাইনাইটিস, এটোপিক ডার্মাটাইটিস, নেত্রবর্ণ প্রদাহ (চোখ ওঠা) দেখা যায় বর্ষাকালে বেশি। বর্ষাকাল মানেই মশার ডিম পাড়ার সময়। তাই মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে।

এ সময় সুস্থ থাকতে কী করবেন-

১. ফোটানো পানি পান করতে হবে। বর্ষায় বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করা উচিত। রাস্তার ধারে ফুটপাতে তৈরি ফলের জুস; লাচ্ছি, শরবত খাবেন না।

২. সুষম খাদ্য, প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’ যেমন- পেয়ারা, কমলা, মাল্টা, আনারস খেতে পারেন।

৩. বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। বাইরে বের হলে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করতে হবে।

৪. কাঁদা ও ময়লাপানি যেন পায়ে না লাগে সে ধরনের জুতা ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাত, মুথ ও পা ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।

৫. এ সময় ডেঙ্গুর ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন।

৬. কোনা রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করবেন না।

ফেইসবুকে চাটখিল নিউজ ২৪ ডট কম


Shares